শাহাদাত হোসেন নিজাম :
আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি ও মতামত। করোনা বহু শোধ নিচ্ছে আরো নেবে। শোধ নেবে অহংকারের। মানে আমিই সব জানি, আমিই সব বুঝি, আমি যা জানি সেটাই সঠিক, আমি যা করছি সেটাই সঠিক। আমিই সেরা। অর্থাৎ আমরা যে যেই পজিশনে আছি, যে যেই পেশায় আছি। যে যেই ধর্ম বিশ্বাস করি, যে যেই রাজনৈতিক বিশ্বাস করি সেটাই সেরা। সেটাই সঠিক। আমরা বায়াসড হই অন্যের দ্বারা নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে। কেউ কেউ অন্যের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আরেকজনকে হেনস্থা করে ইনফ্লুয়েন্সকারীকে সুখ দেই। নিজেও সুখ নেই।
কিন্তু এইসব যে সৃষ্টিকর্তার আদেশ-নির্দেশনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে তা একবারও ভাবিনা। আমরা পৃথিবীর একটি বিশাল জনগোষ্ঠী নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা, অ্যাটিচিউড থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি-মারামারি, গুজব-ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে যার যার স্বার্থ উদ্ধারে প্রতিনিয়ত লিপ্ত হয়ে মজা নেয়া। এই সবের মধ্যেইতো আমরা দেশকে বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছি।
তাই সব কিছু মিলিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা এসব না সয়ে কঠিন প্রতিশোধ নিচ্ছে শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এখনো বোধোদয় হচ্ছে না চৈতন্য হচ্ছেনা। আমরা এখনো অহংকার, পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়ি, অন্যের উপর দোষারোপ এই সব নিয়েই মাতামাতি করছি। আমরা মানবিক হতে পারছিনা বরং দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ কি ডিজাস্টার যে করে যাচ্ছেন তা আমরা অনুভবেই আনতে পারছিনা। মহান আল্লাহ্ আমাদের হেদায়েত করুক। আমিন।
বি.দ্র. আমাকে মহা পণ্ডিত, বিশ্ব পণ্ডিত, পাগল-আঁতেল যাই ভাবেন এবং গালি দেন আমি আমার সারা জীবনের বিভিন্ন পরতে পরতে ধাক্কা খাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই আজ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আল্লার অশেষ মেহেরবাণীতে বেঁচে থেকে এই উপলব্ধিগুলো তুলে ধরার চিন্তা করেছি।
পুনশ্চ: গত ৩১ মে থেকে চৌঠা জুন পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়বার নিশ্চিত মৃত্যুর দুয়ার থেকে মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ্তাআলা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এটা হয়তো তাঁর দয়া। কিন্তু এই লেখার মূহুর্তেও তিনি আমাকে নিয়ে যেতে পারেন। তাই আমার আজীবনের সঞ্চিত বিশ্বাসগুলোকে প্রকাশের দীর্ঘদিনের ইচ্ছাকে জানান দিয়ে আমি মরে গেলেও শান্তি পাবো। আমিন।
লেখক : শাহাদাত হোসেন নিজাম, সাংবাদিক নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী।