ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চলতি মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণে হঠাৎ দ্রুত ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম ১১ দিনের মধ্যে সাতদিনেই দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের হার ২ লাখ ছাড়িয়েছে। বাকি চারদিন ছিল ২ কিছুটা নিচে। তবে গড় হিসাব করলে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছে অন্তত দুই লাখ মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি করা লকডাউন উঠে যাচ্ছে দেশে দেশে। এদিকে রেকর্ড সংখ্যায় ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটিয়ে চলেছে মানুষের দেহে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, শুক্রবার নতুন করে বিশ্বজুড়ে একদিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২৮ হাজার ১০২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
অথচ জুন মাসেও করোনার গড় সংক্রমণের হার ছিল দেড় লাখের নিচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির দিনে দিনে অবনতি ঘটছে। আরও দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে মহামারি এই ভাইরাস। তাই বিশ্বের সরকারগুলোকে করোনা প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যে সোয়া দুই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি দেশে। এরমধ্যে রয়েছে শীর্ষ সংক্রমিত তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারত। তালিকায় আরেকটি নাম হলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানেও সংক্রমণ বাড়ছে খুব দ্রুতই।
ডব্লিউএইচও’র দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছিল গত ৪ জুলাই। ওইদিন বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর তা আরও বাড়ছেই। তবে দৈনিক মৃত্যুর গড় হার পাঁচ হাজারের নিচে রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের সঙ্গে তুলনায় মৃত্যু অতটা না বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা একটু একটু করে বাড়তির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত জুনেও দৈনিক গড়ে দেড় লাখের কম রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজারের কিছু বেশি। চলতি মাসে তা যে বাড়তে শুরু করেছে প্রথম দশ দিনের হিসাবেই তা স্পষ্ট।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে প্রথমদিকে বেশ ধীরেই সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চীনের উহান শহর থেকে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের। তবে মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে বিশ্বের বহু দেশকে পেছনে ফেলে সংক্রমণের তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন তিন নম্বরে।
এদিকে বাতাসের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়ানোর ‘প্রমাণ’ যে আসতে শুরু করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা স্বীকার করেছে অবশেষে। বাতাসের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ বাড়তে থাকার মধ্যেই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এ মাইলফলক ছাড়াল।