নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
সারা দেশে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি, রোববার টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। দেশ্যাপী সকাল ১০টায় করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই করোনার টিকা নেবেন। এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই হাজার ৪০০টিম। এছাড়া টিকা নিতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তিন ৩ লাখ ২৮ হাজার জন টিকা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে নিবন্ধন করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, অনলাইনে করোনার টিকা গ্রহণে নিবন্ধনে জটিলতা না থাকলে নিবন্ধনের সংখ্যা আরও বাড়তো। কার্যক্রমের প্রথম দিনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী টিকা নেবেন।
গেল ২৭ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সের টিকা গ্রহণের পর ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পেশার মোট ৫৬৭ জন ফ্রন্টলাইনারকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখতে ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত টিকাদান বন্ধ রাখা হয়।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকা গ্রহণের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার বাইরে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা হয়নি। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রাথমিকভাবে ১৮ বছরের কম বয়সী এবং গর্ভবতী নারীসহ কিছু মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে না। টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের পরবর্তী ২৮ দিন অর্থাৎ চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জানা যায়, প্রথম দফায় ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সরকারের হাতে এখনও ৭০ লাখ টিকা আছে।