করোনা ও বন্যার সময়ে উপনির্বাচন ‘অগ্রহণযোগ্য’, পুনঃবিবেচনার দাবি বিএনপির, ফখরুলের চিঠি নিয়ে ইসিতে বিএনপির প্রতিনিধি দল

BNP.jpg

ইসি সচিবালয় থেকে বেরিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বৈশ্বিক মহামারী কোভিট ১৯-এর প্রাদুর্ভাব ও উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই দুই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য দাবি করেছে বিএনপি। এ জন্য দুটি উপনির্বাচন পেছানোর দাবি করেছে দলটি। মঙ্গলবার সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের চিঠি নিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে  চিঠি হস্তান্তর করেন। এ সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে ১৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচনে তারা অংশ নেবে না বলেই জানিয়ে দেয়া হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৩ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আপনি অবহিত আছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস (কোভিড়-১৯) মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের দুটি আসনে আগামী ১৪ জুলাই এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় বিএনপি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। আমরা নির্বাচন কমিশনের উল্লিখিত উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের এ সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও চরম হুমকিস্বরূপ। সে কারণে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এ দুটি উপনির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্ণিত অবস্থায়, জনস্বার্থ বিবেচনায় কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার জন্য আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রসঙ্গত ওই দুই সংসদীয় আসনে ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করা হয়। আর এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে এ নির্বাচন করছে ইসি। ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনের এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।

scroll to top