দাম না পেয়ে পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা

Padma.jpg

পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়া হলো কোরবানির চামড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নেই। মন্দার বাজারে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সেই চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। সংরক্ষণ করলে বাড়বে লোকসান। এই আশঙ্কায় কোরবানির পশুর চামড়া পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়েছেন অনেকেই।

এবার রাজশাহীতে ছাগলের চামড়া পাঁচ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা একটু বাড়তি দামে চামড়া কিনেছেন। এতেই বিপাকে পড়ে যান তারা।

তবে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার তারাই ঠিকমতো চামড়ার বাজার বুঝতে পারেননি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তো বোঝারই কথা নয়। এ কারণে লোকসানে পড়েছেন সবাই।

জানা গেছে, শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসেবে রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় গরুর চামড়ার দাম ধরা হয় প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম ধরা হয় প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। চামড়ার দরপতন ঠেকাতে ঈদের তিনদিন আগে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ঈদের দিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, নির্ধারিত দামের অনেক কমেও চামড়া কিনতে চাননি ব্যবসায়ীরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের মনমতো দাম দিয়ে চামড়া কিনেছেন। চামড়া নিতে এ বছর আগ্রহ ছিল কারও। সাইজ মেনে গরুর চামড়া ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়ার দাম দেয়া হয়েছে পাঁচ টাকা থেকে ২৫ টাকা।

রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আমাদের বকেয়া টাকা পড়ে আছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। করোনার কারণে হাতে টাকা নেই আমাদের। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে সেই দামে চামড়া কেনার টাকা নেই। ফলে কম দামে চামড়া কিনতে হয়েছে।

তিনি বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে পাঠান না। তারা কেনার পর সেই চামড়া আবার প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু এবার তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের। এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, কোরবানির আগে জেলায় গরু-মহিষ ছিল প্রায় এক লাখ। আর ছাগল ছিল দুই লাখ ২৮ হাজার। অন্যান্য পশু ছিল ৪২ হাজার। সবমিলে কোরবানির জন্য পশু ছিল তিন লাখ ৭০ হাজার। জেলায় আড়াই লাখের মতো পশু কোরবানি হওয়ার কথা। তবে প্রকৃত হিসাবটা এখনও প্রস্তুত হয়নি।

scroll to top