জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ জুলাই মঙ্গলবার। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ গত বছর ১৪ জুলাই ইন্তেকাল করেন। এই উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় পার্টি সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, পার্টি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, এরশাদের কবর জিয়ারত, পুষ্প অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও আলোচনা সভা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর পল্লী নিবাসে এরশাদের কবর জিয়ারত করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি.এম. কাদেরসহ পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে তারা মিলাদ মাহফিল ও মুনাজাতে অংশ নেবেন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল জিয়ার পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছাত্রজনতা হত্যার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এরশাদ। তারপর জিয়ার পথ অনুসরণ জিয়ারই দল ও বোল পাল্টানো অনৈতিক নেতাদের নিয়ে গঠন করেন জাতীয় পার্টি। এরপর প্রায় নয় বছর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাপটের মাধ্যমে দেশ শাসন করেন। ১৯৯০ সালের ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে রক্তপাতহীন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। তবে তার ক্ষমতার সময়ে দেশের প্রশাসনিক, যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে এটা সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু শেষ জীবনে তার দুঃখ ছিলো কেনা গরুগুলো তাকে ছেড়ে অন্যদলে চলে গেছে বলে।
এরপর লম্বা সময় জেল জরিমানার দুঃসময় অতিবাহিত করে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে পর চলমান সংসদের বিরোধীয় নেতা হিসেবে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সব কিছুর শেষ কথা হলো এরশাদ জিয়ার মতো অমানবিক নিষ্ঠুর মানুষ ছিলেন না, এরশাদ একজন জনদরদী দেশপ্রমিক মানুষ ছিলেন।