খালেদা জিয়া । ফাইল ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সোমবার বিকেল ৪টায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি খালেদা জিয়ার শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা সরকারকে জানিয়েছে বিএনপি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে উনার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মোবাইল ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরাসরি কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে কিছু পরীক্ষা করানোর জন্য খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন। পরে হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এভারকেয়ারে ৭২০৪ কেবিনে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় বন্দী ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপরই গত বছর ২৫ মার্চ দণ্ড স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানান জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যথাযথভাবেই চলছে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে ভোরের দিকে উনি (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। শ্বাসকষ্ট অনুভব করার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে সিসিইউতে উনি চিকিৎসাধীন আছেন।
কি কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষের যে কোনো পরিস্থিতি এবং যে কোনো সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উনার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জাহিদ হোসেন জানান, আমি কয়েক মিনিট আগে উনার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। উনার সঙ্গে আমি কথা বলেও এসেছি। উনি কেমন আছেন, সেটা শুনেছি।
এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীকে আল্লাহর কাছে দোয়া করার অনুরোধ জানান জাহিদ হোসেন।
এর আগে বিকেল ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
গত ২৭ এপ্রিল রাতে কিছু পরীক্ষা করানোর জন্য খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে আসেন। পরে হাসপাতালে তার সিটিস্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এভার কেয়ারে ৭২০৪ কেবিনে ছিলেন তিনি।