পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

B-NP.jpg

কড়া পুলিশি ব্যারিকেডে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

মহনগর প্রতিবেদক ::

স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে কড়া পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যেই নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে যোগ দিচ্ছেন।

আজ সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রতিবাদ সমাবেশটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮ থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে সমাবেশে আসতে দলটির প্রায় প্রতিটি নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রবেশ মুখে অনুমতি ছাড়া কেউ আসতে চাইলে তাকে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব এবং এর আশ পাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সমাবেশে ইতি মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।

এছাড়া আরও রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা, স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল প্রমুখ।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার দিবসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মানুষ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ আগামী ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ৩০ মার্চ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।

scroll to top