সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সীতাকুণ্ডের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমরান এ তথ্য জানিয়েছেন। সীতাকুণ্ডে বেশ শীত অনুভূত হলেও ছিল না কুয়াশা। বেলা বাড়লেও রাস্তাঘাট ছিল বেশ ফাঁকা। বিশ্বজিৎ চৌধুরী আরও জানান, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। এরপর আবারও বাড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে সীতাকুণ্ডে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন হলেও কুয়াশার পরিমাণ ছিল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রাও বেড়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, গত সপ্তাহে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়েছিল। তখন থেকে সীতাকুণ্ডের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড পাহাড়বেষ্টিত হওয়ায় তাপমাত্রা বছরের এই সময়ে কিছুটা কম থাকে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া পূর্বাভাস বার্তায় দেখা গেছে, সন্দ্বীপ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ও চট্টগ্রাম নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এই সময়ে শিম ও আলুর জন্য তাপমাত্রা কম হওয়া প্রয়োজন। কুয়াশাবিহীন কম তাপমাত্রা থাকলে আলু পরিপুষ্ট ও শিমের ফলন ভালো থাকে। যদি কুয়াশা বেড়ে যায়, তাহলে শিমের ফুল ঝরে যাবে। অন্যান্য শীতকালীন সবজিরও ক্ষতি হবে।