কক্সবাজার প্রতিনিধি::
করোনায় ৫ মাস স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থাকায় মন আর ঘরে থাকতে চাইছে না। অফিসও করছেন না। তাহলে ৪/৫ দিনের সময় হাতে নিয়ে গুরে আসুন খাগড়াছড়ি-কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের মত ভ্রমণ এলাকাগুলোতে। পরিবেশ পরিবর্তনে মনটা সতেজ হবে। কাে নতুন উদ্যম পাবেন। মায়াবী সবুজ জমিন, বিশাল খোলা নীল আকাশ আর সবুজে ঘেরা পাহাড় আপনাকে সতেজ করবেই।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার-রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের পর শর্তসাপেক্ষে ও সীমিত পরিসরে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এজন্য দর্শনার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ মানতে হবে ছয় শর্ত।
দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর গত ২৩ আগস্ট করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক জেলা কমিটির সভা শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় মিডিয়ায়।
তিনি জানান, ২৮ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ছয় শর্ত মেনে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক, রিসাং ঝর্ণা, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে।
শর্তের মধ্যে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশের আগে মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত দুই দশকে গড়ে ওঠা খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। পর্যটকশূন্য হওয়ায় টানা আর্থিক ক্ষতির মুখে এই খাত। এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পাবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। আর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গেল ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পাহাড়ের লাভজনক পর্যটন খাত। ঘরবন্দী হয়ে পড়ে ভ্রমণ পিপাসু মানুষগুলো।