সংসদ প্রতিবেদক ।।
এবছরের বাজেট করোনা মহামারী মোকাবেলা করে দেশের উন্নয়নকে আরো গতিশীল করবে। এই বাজেটের বাস্তবায়ন, সরকারের সঠিক ও সময়োপযোগী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় মহামারী কাটিয়ে মানুষের জীবন যাত্রা সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য, বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের উন্নত- সমৃদ্ধ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ৩ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপির যৌথ আয়োজনে “জেন্ডার ক্লাইমেট নেক্সাস: টু ওয়ার্ডস ইক্যুইটেবল এন্ড ইনক্লুসিভ ট্রান্সফরমেশন” বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন , জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। যার ফলে দেশে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গণ, ঘুর্ণিঝড় ও খরার মতো মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকার নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে নারীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার দক্ষতা ও অভিযোজনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কোন দায় বাংলাদেশের নেই। সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবিকা ও কর্মসংস্থানকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকায়ন হবে। বছর জুড়ে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবারহ নিশ্চিত করা যাবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার নারীদের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে’।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘যেকোন দুর্যোগে পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যু ও আক্রান্তের ঝুঁকি দ্বিগুণ। তবে এখন সময় এসেছে দুর্যোগ মোকাবেলায় নারীকে নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা’।
তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে জেন্ডার ক্লাইমেট, ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন, জেন্ডার রেস্পন্সিব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে ১২ টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইআরডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ইউএনডিপির কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকর’ প্রকল্পটি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৫টি জেলায় ৩৯ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজার ২২৯ জন।