ঢাকায় ২৪ স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট

41607_196-scaled.jpg
অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল আজহা উদযাপনে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী ছাড়াও প্রতিবছর ঢাকার বেশ কিছু অস্থায়ী হাট বসে। নগরবাসীর চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এ সময় বিপুলসংখ্যক কোরবানির পশু আমদানি হয় এসব হাটে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।

তবু ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৪টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসবে ১০টি হাট। এগুলোর সঙ্গে গাবতলীর পশুর হাটেও চলবে কোরবানির পশু বেচা-কেনা।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন ১৪টি হাটের অস্থায়ী ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—

উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলোজি মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা, পোস্তাগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা, আরমানিটোলা মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠসংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা, আফতাব নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন ১ ও ২-এর খালি জায়গা, আশুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা।

অন্যদিকে ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তরে এবার ১০টি স্থানে পশুর হাট বসানো হবে। সম্ভাব্য স্থানগুলো হলো—

ভাষানটেক রাস্তার নির্মাণাধীন অব্যবহৃত-পরিত্যক্ত অংশ এবং পাশের খালি জায়গা, ভাটারা সংলগ্ন এলাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা (আফতাবনগর), মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কের পাশে পুলিশ লাইনের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং)-এর খালি জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ এবং ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা। ডিএনসিসিতে আরও একটি স্থান হাটের জন্য নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সরকারের যে নির্দেশনা আছে, সেটা ক্রেতা-বিক্রেতাকে মানতে হবে। এ বিষয়ে হাটে মাইকিং করা হবে। এছাড়া পোস্টার-লিফলেট ব্যানারের মাধ্যমেও সচেতন করা হবে।

scroll to top