তিন জেলার চরাঞ্চলে বন্যা ও তীব্র ভাঙন

Banna.jpg

যোগাযোগ ডেস্ক :

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর ডিমলা, কুড়িগ্রামের উলিপুর ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার চরাঞ্চলে বন্যা ও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উলিপুরে অনেক পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে আরও শতাধিক বাড়িঘর। যোগাযোগ প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

ডিমলা (নীলফামারী) : উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিস্তার বন্যায় চরাঞ্চলের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকের বসতঘরে হাঁটু পানি। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা জানান, ওই দুই উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছচাঁপানী, ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারীসহ ১০ ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার ১৫টি চর ও গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই সব এলাকায় বসবাসকারীদের নিরপদে উঁচু স্থানে সরে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। কয়েক দিনের ভাঙনে বসতভিটার পাশাপাশি ফসলি জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি গেড়ে ও গাছের ডাল ফেলে পাইলিং করে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার দুপুরে ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে জানা যায়, উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর গ্রামে গত এক সপ্তাহে ভাঙনের ফলে প্রায় ৩০টি পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকায় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ চলাচলের রাস্তা। থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তিস্তা নদীর ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

লালমনিরহাট : শুক্রবার মধ্য রাতে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। শনিবার সকাল ৬টায় তা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে বরাদ্দ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

scroll to top