মুজিববর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রদান জনসেবার অনন্য উদাহরণ : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

IMG_20210123_130519-scaled.jpg

গজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি ::

মুজিববর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রদান জনসেবার অনন্য উদাহরণ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শনিবার ২৩ জানুয়ারি সকালে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এ উপজেলার ১৫০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারিপত্র ও গৃহ প্রদানের সনদ হস্তান্তর করেন। দুই শতাংশ জমির বন্দোবস্তসহ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত প্রতিটি ঘরে রয়েছে ২ টি কক্ষ, ১ টি বারান্দা, রান্নাঘর ও ওয়াশরুম। মুন্সীগঞ্জ জেলায় আজ মোট ৫০৮ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেল ১৫০ জন। ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারাদেশে একযোগে ৬৬ হাজার ১৮৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করেন।

ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই জাতির পিতা দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। গৃহহীন মানুষের জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য যে নয় লাখ ঘর প্রদান করছে তা সাধারণ মানুষের উন্নয়নে জনসেবার অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়ন সবই সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা।

গজারিয়া উপজেলার পরিষদ মিলনায়তনে গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম,

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, উপজেলা কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃত্ববৃন্দ ও উপকারভোগীগণ।

scroll to top