রাজধানীতে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার, ইন্টারনেট ও ডিশ ক্যাবলের তারের জঞ্জাল যাচ্ছে মাটির নিচে

cable.jpg

রাজধানীতে সড়কের দু,পাশে পথচারিদের মাথার উপর এভাবেই ঝুলন্ত তার

নিজস্ব প্রতিবেদক  :

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে ঢাকা শহরের সব সেবার ঝুলন্ত তার ‘পর্যায়ক্রমে’ ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ লাইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামকে পথ দেখিয়ে রাজধানীর সড়কের পাশের ঝুলন্ত তার দ্রুত মাটির নিচে নেওয়ার আহ্বান জানলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। স্মার্ট সিটি গড়ার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় `ইডটকো বাংলাদেশ’র উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ‘স্মার্ট ল্যাম্প পোল’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।

রাজধানী ঢাকায় ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার, ইন্টারনেট ও ডিশ ক্যাবলের তারের জঞ্জাল সরাতে সরকার দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে সরকার। গত এক দশক ধরে এজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়। যদিও বেশ কিছু এলাকায় এরই মধ্যে বিদ্যুতের তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তবে ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় এসব সেবা সংস্থার তারের জঞ্জাল এখনো মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অথচ তারের জঞ্জাল সরাতে উচ্চ আদালত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দিয়েছেন।

আইএসপি ব্যবসায়ীরা ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা দেয় জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সারা ঢাকা শহরে তারগুলো বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখানে ডিজিটালাইজড করা হয়নি। দেখতে খুব নোংরা লাগে, আমাদের এক্সিডেন্ট ঘটায়। একটা বড় সমস্যা হয়, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ তার কেটে দেয়। যার ফলে ইন্টারনেট থাকে না। মেয়র সাহেবকে অনুরোধ করব, এ তারগুলো কীভাবে আন্ডারগ্রাউন্ড করে খুব ভালো ব্যবস্থায় করা যায়। আমি অনেকবার কথা বলেছি আইএসপিদের সঙ্গে, তারা সামর্থ্যবান না, তারা পারে না।’

মেয়রকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেন, আপনি আন্ডারগ্রাউন্ডে একটা লাইন করে দেন। তার জন্য যে খরচ হবে, তা মাসিকভিত্তিতে আইএসপিরা দিতে পারবে। এটা করতে গেলে ডিজিটালাইজেশনের ২৫ শতাংশ হয়ে যাবে। ঢাকায় যদি বাইরে তার দেখা না যায়, তাহলে আমরা ইউরোপের মতো কাছাকাছি চলে যাব।’

আইএসপিদের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা অর্থ ইনকাম করে সরকারকে দিই। আপনাদের সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নিতে হবে। এ সময় মেয়র আতিক বলেন, আমরা তিনটি কোম্পানির সঙ্গে বসেছিলাম। তারা যে ব্যবসা করতে চায়, তাদের সঙ্গে ডিশের লাইনের ফাইট আছে। আপনার কাছে যথেষ্ট অর্থ আছে, আর আমার কাছে রাস্তা আছে। আমি চাই গুলশান, বারিধারা, বনানীতে রোড কাটিং করে আপনারা বসেন। আমি নিজে গিয়ে লাইনগুলো কেটে দেব। নিজেদের স্বার্থের জন্য কাজগুলো করছেন না। সবাই শুধু পয়সা চায়। এখনই মাস্টার প্ল্যান করে বাস্তবায়ন করব। অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ঝুলন্ত তার সিলেটে মাটির নিচে নেওয়া হয়েছে। তাহলে ঢাকা শহরে কেন পারব না? এতে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে।

scroll to top