নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাত দিনের পরিবর্তে এবার ঈদের দিনসহ পাঁচ দিন চলবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কোরবানির পশুর হাট। অস্থায়ী পশুর হাট ছয়টি থেকে পাঁচটিতে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। পশুর হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। করোনা মোকাবেলায় সরকারের কেন্দ্রীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ঈদের দিন ব্যতীত টানা চার দিন চালু রাখা হবে কোরবানির পশুর হাট। নির্ধারিত তারিখের পরে হাট বসানো যাবে না। পশুর হাটের সীমানাও বাড়ানো যাবে না। পশুর বিক্রয়মূল্যের ওপর সরকার অনুমোদিত শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল আদায় করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা আলোর ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক অস্থায়ী শৌচাগার এবং নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে হাটে। এ ছাড়া হাটের প্রবেশপথে বাধ্যতামূলকভাবে টিভি স্ক্রিনযুক্ত থার্মাল স্ক্যানারে প্রবেশকারীর তাপমাত্রা মাপতে হবে। তাপমাত্রা বেশি থাকলে কোনোভাবেই হাটে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মিড়িয়াকে বলেন, “বসিলার হাট এবার বসবে না। করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সবাইকে মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এবং সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ ও অন্যান্য আইনবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পশুর হাটের স্থানগুলো হলো
উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ ভবন পর্যন্ত খালি জায়গা; কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা; ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা; ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাট এবং উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমণ রোধে ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর সহায়তায় অনলাইনে কোরবানি পশু কিনে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানি, মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।