নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বিকৃত মস্তিস্ক, কান্ডজ্ঞানহীন বিবেক বর্জিত ও মানসিক বিকার গ্রস্তরাই ধর্ষণকারী। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও আইনি সহায়তাসহ নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের পাশে থাকাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি। ধর্ষকেরা যে পাড়া বা মহল্লায় থাকে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে বা কোন পিতা মাতার সন্তান ধর্ষক হলে তাদেরকে সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে ঘৃনা, বর্জন এবং বিতাড়িত করার আহবান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা।
২০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের চারটি বিভাগের বত্রিশ জেলার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এদেশের নারীদের ধর্ষণ করেছিল তাদেরকে নিয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সরকার গঠন করে এদেশে ধর্ষণ ও নির্যতনের বীজ বোপন করে। তারই ধারাবহিকতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১ সালে নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তাদের দলের লোকেরা পুর্নিমা ও ফাহিমাসহ অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করে। তারা সেসময় বিচারও পায় নাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হা্সিনার নেতৃত্বেই এদেশ থেকে ধর্ষকদের মুলোৎপাটন হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন ইতিমধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে দেশে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারী হয়েছে এবং অতি অল্পসময়ের মধ্যে ধর্ষণের বিচারের রায় হতে শুরু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন বিষয়ে জনগনকে সচেতন করতে হবে। বাল্য বিয়ে বন্ধে বিয়ে নিবন্ধক ও পুরোহিতদের সাথে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অপরাধ সংঘটিত হতে দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক পারভীন আকতার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজোকের মতবিনিময় সভায় নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার উপপরিচালকবৃন্দ করোনা ও সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।