নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জামাত-বিএনপি চৌদ্দ বছর ক্ষমতা হারিয়ে জনশূণ্য, কর্মীশূণ্য, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পূর্বের মত আবারো অগ্নীসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। তারা চলন্তবাসে জলন্ত আগুনে জীবন্ত, ঘুমন্ত মা-বোন ও শিশুসহ মানুষ হত্যা করেছিলো। এবারো তারা একই অগ্নীসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি- জামাতকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ এবং অগ্নি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করেন। তা না হলে অগ্নী সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য বাংলার নারী সমাজ সোচ্চার আছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সোমবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যম জয়িতা ফাউন্ডেশনের নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। জয়িতা ফাউন্ডশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ (অতিরিক্ত সচিব) ওয়াহিদা আক্তার।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনা বাস্তবে রুপ দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তবে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে আছে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা। সব ধরণের বাধাবিপত্তি দূর করে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের গড়ে তোলা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয় নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে নারীর অগ্রগতি আজ দৃশ্যমান। যা নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাা আরো বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা সহজ ও আকর্ষণীয় করা অত্যন্ত জরুরি। তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পূর্বে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নিবেদিত ও সুযোগসুবিধা সম্বিলিত বিপণন কেন্দ্র ছিলনা। যার ফলে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জয়িতা ফাউন্ডেশন রাজধানীর ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্বলিত জয়িতা বিপণন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে উদ্যোক্তারা ন্যায্য মূল্যে তৈরি পোষাক ও খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারছে। ভোক্তাদের সাথে সরাসরি যোগসূত্র তৈরির মাধ্যমে পন্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায় উদ্যোগে নারীদের সম্পৃক্ত করা, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়িতা ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্বোধন করেন। ধানমন্ডির রাপা প্লাজার ৩য় ও ৪র্থ তলার সুবিশাল দুটি ফ্লোরে জয়িতা ফাউন্ডেশন হস্তজাত ও খাদ্যজাত ব্যবসার বিপণন পরিচালনা করছে। যেখানে মোট ৯৩ টি স্টল আছে। এর সাথে প্রায় ৩ হাজার ২শত ৫৫ জন উদ্যোক্তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে জয়িতার নিজস্ব বহুতল ভবন নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়িতা বিপননী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। লালমাটিয়ায় জয়িতার ডিজাইন সেন্টারে উদ্যোক্তাদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের উন্নয়নে স্বতন্ত্র ডিজাইন বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রদান করা শুরু হয়েছে। ডিজাইন সেন্টারের কৌশলগত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা উদ্যোক্তাদেরকে আরো আধুনিক, গুণগত মানসম্মত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরী করবে।