বিশেষ প্রতিবেদক ::
সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, সপ্তাহের শেষে বাড়তে পারে শীতের প্রকোপ। আবহাওয়া সূত্র বলছে, আগামী জানুয়ারিতে বাড়বে শীতের তীব্রতা। জানুয়ারিতে আরও অন্তত দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এই অঞ্চলে। এর মধ্যে অন্তত দুটি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে তীব্র। তাপমাত্রা নামতে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে ১০ ডিসেম্বরেই শৈত্যপ্রবাহের লক্ষণীয় বিষয়গুলো দেখা মিলেছে উত্তরের প্রকৃতি ও পরিবেশের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) উত্তরাঞ্চলের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই সময় তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সঙ্গে পড়বে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা।
রাজশাহী আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, আগামী জানুয়ারিতে দিকে দুই থেকে তিনটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা। এর মধ্যে অন্তত দুটি শৈত্যপ্রবাহ রূপ নেবে তীব্র। ওই সময় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামবে। শুধু উত্তরেই নয় এমনকি পুরো অঞ্চল ঢাকা পড়তে পারে ঘন কুয়াশায়।
রাজশাহী আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, বৃস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২৩ নভেম্বর রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন নেই।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি একটি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে হালকা ধরনের কুয়াশার থাকতে পারে। এসব এলাকার নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, তবে কোনো সংকেত দেখাতে হবে না।