যোগাযোগ অনলাইন রিপোর্ট ::
সারাদেশে দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আত্মগোপনে থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামী রবিবার (৫ নভেম্বর) ও সোমবার (৬ নভেম্বর) সড়ক, নৌ ও রেলপথে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ডাকা ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহের শুরুতে আবারো শুরু হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করল দলটি।
গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল ও জোট অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা ও সমর্থন করেছে।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচী সফল হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিন দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে। যে দাবির প্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল এবং সমমনা দলগুলো সঙ্গে জনগণের যে সমর্থন বিএনপি পেয়েছে সে জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকার বাস মালিকদের হুমকি দেয়ার পরেও রাস্তা ফাঁকা ছিল।
টার্গেট কিলিং হচ্ছে অভিযোগ করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আরেক উদ্বেগজনক ঘটনা হচ্ছে যেগুলো না বললেই নয়। মনে হচ্ছে কিছু টার্গেট কিলিং হচ্ছে। আবার সেই পুরনো টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে। রাজশাহীতে দুই ডাক্তার একজন এমবিবিএস ডাক্তার, আরেকজন পল্লী চিকিৎসক, দুইজন এক রাতেই নিহত হয়েছে। তারা একটি রাজনৈতিক সংগঠনের এলাকার নেতা। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা জেলার মোকাম ইউনিয়নের নেতা জাকির হোসেনকে পুলিশ ধাওয়া করে, এই ধাওয়ার মুখে সে পড়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে। এগুলো সব টার্গেটেড বিষয় বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। সারাদেশে বিষয়টা শুরু হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিস্তব্ধ করে দেয়ার জন্য, গোটা জাতিকে আতঙ্কে মানসিকভাবে আঘাতগ্রস্ত করে দেয়ার জন্য সরকারের একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পানা এই টার্গেট কিলিং।