নোয়াখালীর মূল সমস্যা একরাম তন্ত্র: কাদের মির্জা

AJ-6621.jpg

আমি সব ভুলে যেতে পারি, কিন্তু কোনো অবস্থায় আমাদের সকলের প্রাণের নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্যকারীদের ভুলে যেতে পারি না।

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ::

নোয়াখালীর রাজনীতি নিয়ে আমাদের মাঝে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার প্রধান কারণ একরাম তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া। নোয়াখালীতে অপরাজনীতির হোতা যার অস্ত্রে আমাদের কোম্পানীগঞ্জের ২ জনসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই একরামের কারণে নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতিতে ফাটল তৈরি হয়েছে, এদের সাথে কোনো ভাবেই রাজনীতি করা যায় না।

গতকাল শনিবার (৫ জুন) বিকেল ৪ ঘটিকায় বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মাইনুদ্দিন পলাশের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মোহন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাত ও আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, আমাকে এই পর্যন্ত ৬ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি হয়ত ভুলে যেতে পারি, আমার ১১০ জন কর্মীকে গুলি করা হয়েছে সেটাও হয়ত ভুলে যেতে পারি, আমাদের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ২৬ টা মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে সেটাও হয়ত ভুলে যেতে পারি, কিন্তু কোনো অবস্থায় আমাদের সকলের প্রাণের নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য কারীদের ভুলে যেতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, আমি ক্ষমা করে দিবো, কেউ যদি অতীতের ভুল ত্রুটি থেকে ফিরে এসে আমাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করতে চায়, দরজা খোলা রয়েছে, তবে যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্বে আসতে হবে এবং অতীতের ভুল-ত্রুটির জন্য সরি বলতেই হবে।

এ সময় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসকান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গণি, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহেদুর রহমান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ প্রমূখ।

scroll to top