কোম্পানীগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬

companiganj-noakhali1.jpg

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ::

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বসুরহাট হাসপাতাল সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তার ছেলে রাজিব, ওই ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন, এনাম, রাসেল, রফিকুল ইসলাম জীবন, বেলাল হোসেন, আবুল কালাম, আব্দুল মালেক ও আব্দুর রহমানসহ ১৬ জন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তার ছেলে রাজিব হোসেন, চরএলাহীর শরীফ, আহ মাহাদী ফয়সাল ও আবুল কালাম।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালে চরএলাহী ইউনিয়ন থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল বসুরহাট বাজারে এসছিল। মিছিলটি বসুরহাট হাসপাতাল গেইট এলাকায় পৌঁছলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব র্যালীকে আক্রমন করলে মিছিলে থাকা নেতাকর্মীরা ও চেয়ারম্যান রাজ্জকের লোকেরা দুইটি পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। সংঘর্ষকারীরা কালার ভিউ ডিজিটাল স্টুডিও নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সংঘর্ষকারীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, তার ভাই বাহার ও ভাগিনা মিন্টুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন মিছিলে থাকা আমার ছেলে রাজিবের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় আমরা তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও পিটিয়ে জখম করে তারা। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার জানান, তার লোকজনের ওপর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা হামলা করে কয়েকজনকে আহত করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রেজ্জাক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে আবদুল গনির বাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করে ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪-৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

scroll to top