নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ::
বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে নোয়াখালী থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে দুই হাজার নেতাকর্মী নোয়াখালী ৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মুহাম্মদ ফখরল ইসলামের নেতৃত্ব মহাসমাবেশে যোগ দেন। নোয়াখালী ৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মুহাম্মদ ফখরল ইসলামের সাথে মিছিলের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেখা গেছে বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, পৌর সেক্রেটারম আবদুল্যাহ আল মামুন, ঊপজেলার নেতা জাহাঙ্গির আলম, শওকত হোসেন সগীর, ষুবদল সভাপত কবির ফয়সাল, ষুবদল সেক্রেটারী রাজনসহ কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী।
২৮ অক্টোবর শনিবার মহা সমাবেশ শুরুর আগে শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে মহাসমাবেশ এলাকা থেকে নোয়াখালী থকে আগত ২২ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে। নোয়াখালী জেলা বিএবনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক টফি নোয়াখালী মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির ভয়ে আগেই আমাদের ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তল্লাশি চৌকিতে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন মুরাদ, নোয়াখালী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাহাত, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর হোসেন রায়হান, কবিরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য ফারুক হোসেন, ইমাম উদ্দিন, জিরতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ আলম টিপু, জিরতলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রমুখ অন্যতম।
ওমর ফারুক টফি আরও বলেন, সরকারের পোটোয়া বাহিনী যতই আটক-গ্রেফতার বা দমনপীড়ন করুক সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের আগে আমরা আর ঘরে ফিরবো না। আমি আটক নেতাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ফখরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকায় আসা নেতাকর্মীরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এছাড়া যারা আটক হয়েছেন তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।