প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি

MF.jpg

ফখরুল ইসলামের বাড়িতে হামলার পর এবার কবিরহাটে জমি দখলের চেষ্টা, হামলা মামলার রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন ব্যারিস্টার মওদুদ ও শিল্পপতি ফখরুল গ্রুপ

কবিরহাট প্রতিনিধি ::

সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে মেধা ও সমর্থনে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের সাথে কোন ভাবে টিকে উঠতে না পেরে ব্যারিস্টার মওদুদপন্থীরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম পন্থীদের।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার মওদুদের বাড়িতে যৌথসভা করে মওদুদপন্থী বিএনপি নেতা কামাল চৌধুরী-রিপনগংরা বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেয়ার রেজুলেশন গ্রহনের একদিন পরেই শিল্পপতি ফখরুলের বসুরহাটের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

হামলার ঘটনার পরবর্তীতে মামলা ও পাল্টা মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার (৫ অক্টোবর) শিল্পপতি ফখরুলের কবিরহাট উপজেলার সামনে মেইন রোড়স্থ মালিকানাধীন জমি জবর দখলের চেষ্টা চালানো হয়েছে কবিরহাট যুবদল সভাপতি ব্যারিস্টার মওদুদপন্থী দেলোয়ার হোসেন ও বেলাল হোসেন দুই ভাইকে ব্যবহার করে। দেলোয়ার ও বেলাল এরা সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায়ও পরিচিত। পূর্বেও তাদের সন্ত্রাসী কাজের নজির জনসম্মুখে রয়েছে।

ব্যারিস্টার মওদুদপন্থী বিএনপি কোম্পানীগঞ্জের মাঠরাজনীতিতে ফখরুল ইসলামের মেধার রাজনীতির কাছে ১৬ আনাই পরাভূত হয়ে দিকবিদিক শূন্য হয়ে আবোল তাবোল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শিল্পপতি ফখরুলের বাড়ি ভাঙচুরের পর স্থানীয় বিএনপি ও জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিজেদের অবস্থান হারাচ্ছে। এবার বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে কবিরহাট জমি দখলের চেষ্টা করে আরো সমালোচিত হচ্ছে মওদুদপন্থীরা নোয়াখালী-৫ আসনের সর্বত্র । তাদের বসুরহাট ও মানিকপুর গ্রামভিক্তিক রাজনীতি সেটাও হারাতে বসেছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে কবিরহাট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ১৫ শতাংশ জমি দখল করার লক্ষে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে কবিরহাট উপজেলা যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও বেলাল হোসেন ভাতৃদয়ের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। বিএনপি নেতা শিল্পপতি ফখরুলের খরিদকৃত জমি দখলের খবর পেয়ে ফখরুল ইসলাম কবিরহাট থানাকে অবহিত করার পর কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা হাসানের হস্তক্ষেপে এসআই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে জবরদখলের চেষ্টাকারীরা নির্মাণাধীন ঘর খুলে নিতে বাধ্য হয় এবং নিজেদের জিম্মায় তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়।

ঘটনার পরবর্তীতে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই বেলালের সাথে অনেক চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার মওদুদপন্থী একটি গ্রুপ বিএনপি নেতা শিল্পপতি ফখরুল ইসলামের বসুরহাটের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের বাড়ির কেয়ারটেকার বাদি হয়ে ব্যারিস্টার মওদুদপন্থী ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে ব্যারিস্টার মওদুদপন্থীরাও বিদেশে অবস্থানরত ফখরুল ইসলামসহসহ ১৬ জন ফখরুলপন্থী বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।

মামলা ও পাল্টা মামলার উভয়পক্ষই বর্তমানে জামিনে আছেন। তবে কোম্পানীগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে শিল্পপতি ফখরুল ইসলাম ও তাঁর সমর্থক বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরপুরে মেজাজে আছে।

এ ব্যপারে শিল্পপতি আলহাজ্ব ফখরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হামলা মামলা ও জমি দখলের চেষ্টাকারীরা কার ইন্দনে এসব করার সাহস পায় তা সকলেই জানেন। তবে অপরাধীরা অপরাধীই তারা কখনো অন্যায় কাজে সফল হবে না। আর আমার সমাজসেবায় কেউ অন্যায়ভাবে বাধা দিলে ভবিষ্যতে তা জনগণই প্রতিহত করবে। একই সাথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাসহ আইনী পদক্ষেপ নেয়ায় কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জসহ সকল পুলিশ সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম।

scroll to top